সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

বাঁধ ভেঙে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানির নিচে ফসলি জমি

বাঁধ ভেঙে ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানির নিচে ফসলি জমি

স্বদেশ ডেস্ক:

পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মহিপুর, লালুয়া, ধানখালী ও চম্পাপুর এই চার ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে।

জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার একর ফসলি জমি এখন পানির নিচে। ওই সকল এলাকার নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরেছে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাহিরের খেটে খাওয়া মানুষ।

চলমান পূর্ণিমার জোয়ের ফলে ধানখালী ইউনিয়নের কলেজ বাজার, পাঁচজুনিয়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া একই অবস্থা হয়েছে লালুয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের এবং কুয়াকাটার অদূরে মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ফসিল জমি ও ঘরবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে পানির নিচে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত পূর্ণিমার জোয়ের চাপে চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর বাঁধ ভেঙে গেলে সেই থেকে নানা সমস্যায় পরে স্থানীয়রা। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, চাড়িপাড়া, বানাতিপাড়া, পশুরবুনিয়া, হাসনাপাড়া, ছোট ৫ নম্বরসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার অরক্ষিত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় সেখানকার মানুষের মধ্যে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়েতে বাড়ি-ঘর সহ ফসলি জমি তলিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, দেবপুর বাঁধ চম্পাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877